শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০০৯

রসুন : রসুনের ভেষজ গুণাবলী

রসুন : রসুনের ভেষজ গুণাবলী


আধুনিক সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারে পরিচালিত অসংখ্য গবেষণা হতে রসুনের বিবিধ ঔষধি গুণাবলী সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া গেছে। নিম্নে রসুনের কতিপয় ঔষধি গুণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করা হলো:


রক্তের কোলেস্টেরেল নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন লাইপোপ্রোটিন-এর অক্সিডেশান কমায় এবং এলডিএল (LDL)-†K অক্সিডেশান প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন করার মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। রসুন কোষকলাও রক্তরসের মধ্যে লিপিড (চর্বি)-এর ভারসাম্যতা রক্ষা করে এবং যকৃত (লিভার) এর ইপোক্সিডেজ এনজাইমের কার্যকারিতা বন্ধ করার মাধ্যমে রক্তরসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।


এথেরোস্ক্লেরোসিস নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন এলডিএল (LDL)-Gi অক্সিডেশান কমায় ফলে ধমনীতে এথেরোস্ক্লেরোসিস সৃষ্টি হয় না এবং এথেরোস্ক্লেরোসিসের ফলে সৃষ্ট প্লাক (আস্তরণ) এর পরিমাণ হ্রাস পায়। গবেষণা হতে জানা যায় যে, এথেরোস্ক্লেরোসিস নিয়ন্ত্রণে রসুন পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকর।


রক্তণালীতে অণুচক্রিকার জমাটবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন রক্তনালীর অভ্যন্তরে অণুচক্রিকা কোসেল জমাটবদ্ধতা (থ্রম্বাস) প্রতিহত করে। ফলে রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকে। আর এক্ষেত্রে রসুনের এলিসিন নামক উপাদানটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন রক্তনালীতে জমে থাকা কোলেস্টেরল কমায় এবং নতুন করে জমতে বাধা দেয়। ফলে রক্তনালী প্রশস্ত হয় এবং রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ হয়। এভাবে রসুন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।


হৃদরোগ প্রতিরোধে : রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, এথেরোস্ক্লেরোসিস ও রক্তনালীতে অণুচক্রিকার জমাটবদ্ধতা (থ্রম্বোসিস) হৃদরোগ ও হার্ট এ্যাটাকের মূল কারণ। গবেষণা হতে জানা যায় যে, রসুন রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, এথেরোস্ক্লেরোসিস ও (থ্রম্বোসিস) প্রতিহত করে। তাই হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ ও হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধে রসুন এক অসাধারণ ভেষজ।


পাকস্থলী ও মলাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে : পাকস্থলী ও মলাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুন খুবই কার্যকর। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণা হতে জানা যায় যে, যারা প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোয়া করে রসুন খায় তাদের পাকস্থলীর ক্যান্সার ও মলাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি যথাক্রমে ৪৭% ও ৪০% কমে যায়। গবেষণা হতে আরও জানা যায় যে, রসুন ক্যান্সার কোষসমূহের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি রোধ করার মাধ্যমে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।


আলসার প্রতিরোধ : Helicobacter pylori নামক এক প্রকার গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে আমাদের অন্ত্রে গ্যাস্ট্রাইটিস ও পেপটিক আলসারের সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণা হতে জানা যায় যে, রসুনে বিদ্যমান ডাই এলাইল সালফাইড ও ডাই এলাইল ডাই সালফাইড-এর রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী ক্ষমতা। তাই এই ব্যাকটেরিয়াজনিত গ্যাস্ট্রাইটিস ও আলসার নিরাময়ে রসুন খুবই কার্যকর।


জীবাণু প্রতিরোধে : রসুনের রয়েছে জীবাণু (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি) প্রতিরোধী ক্ষমতা। শুধু তাই নয়, যেসব জীবাণু এন্টিবায়োটিক র‌্যাজিস্ট্যান্ট (প্রতিরোধক্ষম) হয়ে গেছে সেসব জীবাণু ধ্বংসে রসুন খুবই কার্যকর।


পুরনো জ্বরে : যখন পুরানো জ্বর ছাড়ে না, বাড়ে-কমে কিন্তু একটু থেকেই যায়, তখন ৫/৭ ফোঁটা রসুনের রসের সাথে আধা কাপ গাওয়া ঘি মিশিয়ে খেলে ২/৪ দিনের মধ্যেই জ্বর কমে যাবে।


শরীর ক্ষয়ে : খায় দায় শুকিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ১/২ কোয়া রসুন বেটে এক বা আধা পোয়া দুধে পাক করে সেটা খেতে হয়। এটাতে ক্ষয় বন্ধ হবে; অধিকন্তু আস্তে আস্তে ওজন বেড়ে যাবে।


শুক্র তারল্যে : অল্প গরম দুধের সাথে ২/১ কোয়া রসুন বাটা খেলে শুক্রতারল্য হয় না; অস্থির বল বাড়ে; অস্থির ক্ষয় হ্রাস পায় : শরীরের নিত্যক্ষয় রুদ্ধ হয়।


পেটের বায়ুতে : এক্ষেত্রে ঠাণ্ডা পানিতে ২/৪ ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।


বাতের যন্ত্রণায় : গাওয়া ঘিয়ের সঙ্গে ২/৩ কোয়া রসুন বাটা অথবা ৫/৭ ফোঁটা রস মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।


মাথা ধরায় : সর্দি হয় না অথচ মাথা ধরে (বায়ুর জন্য), এরকম হলে ২/১ ফোঁটা রসুনের রসের নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।


ক্ষত নিরাময়ে : ক্ষতের পঁচা অংশ কিছুতেই যেতে চায় না, এরূপ হলে রসুন বাটা ক্ষতে লাগালে ক্ষত নিরাময় হয়ে যাবে।


ডাঃ আলমগীর মতি, চেয়ারম্যান,

মডার্ণ হারবাল গ্রুপ।

1 টি মন্তব্য:

  1. The online gambling sector is the gambling sector - DrmCD
    The online 경상남도 출장샵 gambling industry is booming, with every online 태백 출장샵 casino 사천 출장샵 game on our list of casinos that offer games and 보령 출장샵 poker games to 태백 출장안마 play for real money.

    উত্তরমুছুন