শনিবার, ৯ মে, ২০০৯

কৃষিকাজ - আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সব



পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে হোসনে আরার সাফল্য




বীজ সংরক্ষরণের ক্ষেত্রে এ দেশে নারীরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে তবে মূল্যবান পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে খোকসার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মালিগ্রামের শুকুর আলীর স্ত্রী হোসনে আরা খাতুন এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন তারপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ১৯৮৯ সালে বিয়ের পর স্বামীর সাথে পরামর্শ করে তিনি ২৫ শতাংশ জমি নিয়ে পেঁয়াজের বীজ চাষ শুরু করেন অনুকূল আবহাওয়ায় বাম্পার ফলনও পেয়ে যান


চলতি বছরে তিনি ৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের জন্য মূল কাটা পেঁয়াজ রোপণ করেছেন হোসনে আরা জানান, ১০/১২ বার চাষ দিয়ে ভালভাবে জমি তৈরি করে অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতেই বীজ বপন করেন তিনি তারপর ২ বার সেচ, ২ বার নিড়ানী এবং প্রয়োজনমত সার দেন স্বামীকে নিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন জমি পরিচর্যায় বীজ ১০০% অংকুরোদগম নিশ্চিত করতে এবং বীজের সঠিক পরাগায়ণ যাতে হয় সেজন্য জমিতে মৌমাছির চাষ শুরু করেছেন তিনি বীজের সফল সংরক্ষণ ও পরিচর্যায় তিনি চৈত্র মাসের শেষ দিকে দুপুর ১২ টার আগে জমি থেকে ফুল সংগ্রহ করেন এরপর তা ৩-৪ দিন রোদে শুকিয়ে ফুল থেকে বীজ ছড়ান তিনি জানান, বীজ উৎপাদনে তাদের বিঘাপ্রতি খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আর প্রতিবিঘা জমি থেকে প্রায় দেড়মণ বীজ উৎপাদন হয় যার মূল্য প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা তার উৎপাদিত বীজের চাহিদা রয়েছে রাজবাড়ি, বালিয়াকান্দি, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালী, পাংশা, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, মিরপুর, ঝিনাইদহের শৈলকুপাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৬ মণ বাছাই করা পেঁয়াজ রোপণ করেন


এসব কাজে সরকারি বা বেসরকারিভাবে এখন পর্যন- কোন সাহায্য সহযোগিতা পাননি তিনি তার ¯^cœ, সরকারি বা বেসরকারিভাবে সহযোগিতা নিয়ে পেঁয়াজের বীজ ছাড়াও অন্যান্য বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখা


-ফারুক আহমেদ, কুষ্টিয়া

ডিজিটাল বাংলাদেশ - আমাদের করণীয়


টিনেজারদের ক্ষতি করছে সোশ্যাল সাইটগুলো!



প্রেক্ষাপটটা পাল্টিয়েছে অনেকখানি কেননা আগে যেখানে শুধুমাত্র ইমেইলের জন্যই ইন্টারনেট ব্যবহার করা হতো সেখানে ভীড় করেছে সোস্যাল নেটওয়ার্কিং। বর্তমানে আমাদের দেশে ফেইসবুকের ব্যবহারকারী অনেক বেড়েছে। যা ফেইসবুকের প্রকাশিত পরিসংখ্যানেই পরিলক্ষিত। এই তো কিছুদিন আগের কথা যখন আমাদের দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সাধারণত গুগল, জিমেইল, ইয়াহু, এমএসএন, মাইক্রোসফট, ডাব্লিউ থ্রি স্কুল, ইউটিউব - এসব ওয়েবসাইটগুলোর সাথেই পরিচিত ছিল বেশি। কিন্তু এখন ফেইস বুকের জন্যই নেট ব্যবহার করছে অনেকে। তাহলে কি আমরা বলবো না প্রেক্ষাপটটা পাল্টিয়েছে অনেক খানি। কিন্তু প্রেক্ষাপট কিংবা অন্য যাই বলি না কেন এটা যে তরুণ সমাজে ক্ষতির অন্যতম হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে তা বলাই বাহুল্য। ছেলেমেয়েরা সারাদিনের প্রায় অধিকাংশ সময়টা ফেসবুকে ব্যয় করছে। তাহলে মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে তারা পড়াশুনা করছে কোন সময়টাতে। কয়েকটি প্রশ্ন রাখি আপনাদের কাছে- ১। কয়টা ছেলে বা মেয়ে ব্লগার ব্যবহার করছে ? ২. কয়টা ছেলে বা মেয়ে গুরু.কম, ওডেস্ক, গেটএফ্রিল্যান্সার, ইল্যান্স কিংবা রেন্ট-এ-কোডারের মতো ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করছে ? ৩. আর কয়টা ছেলেমেয়ে ফেইস বুক ব্যবহার করছে তার একটা পরিসংখ্যান বের করুন। দেখবেন কোনটা এগিয়ে আছে ?

বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র ঢাকা শহরে ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর বন্ধু মহলে আলোচনার অন্যতম টপিক হয়েছে ফেইসবুক। কারণ বন্ধু বানাচ্ছে নিত্য, বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করছে, মজার কমেন্ট করছে একজন আরেকজনের ওয়ালে, ছবির উপর ট্যাগিং করছে, কেউ কেউ অবশ্য এ্যাডাল্ট সব কথা জুড়ে দিচ্ছে ছবির উপর। তাতেই ব্যবহারকারীদের মজা। আর এই মজা লুফতেই ফেইসবুক ছাড়ছে না ছেলেমেয়েরা। কিন্তু আমাদের মধ্যে যারা ফেইসবুক ব্যবহার করছে তারা বেশ শিক্ষিত সেই সাথে বুদ্ধিমানও বটে। এই বুদ্ধিমত্তাগুলোর অধিকাংশই ফেইসবুকে থেকে বিভিন্ন কমেন্টের উপর কমেন্ট করছে। কিন্তু কি বা কতটুকু লাভ হচ্ছে? বরং প্রচুর পরিমাণে সময় অপচয় হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনার, কখনও কখনও আবার মেয়ে ছেলে উভয়ই বিরক্তির স্বীকার হচ্ছে। তবে এই বুদ্ধিমান ছেলে কিংবা মেয়েরা যদি তাদের বুদ্ধি খাটিয়ে অনলাইন থেকে উপার্জনের সাথে জড়াতো তাহলে ব্যাপারটা কেমন হতো? অবশ্যই ভাল, এতে একমত পোষণ করবে সবাই। ফেইসবুককে শুধু দোষী করলে লাভ নেই। মূল ক্ষতিটা আসলে আমরা নিজেরাই করছি। আমাদের মধ্যে যারা ফেইসবুক ব্যবহার করছি তারা ব্লগ তৈরির পর গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। আবার একটা ছেলে খুব ভাল ভাবেই ধাপে ধাপে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে ফটোশপ বা ওয়েব ডিজাইন শিখে নিতে পারে ইউটিউব কিংবা মেটাকাফের মত ভিডিও দেখার সাইট ব্যবহার করে। তারপর সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে জুমলান্সারস কিংবা গেট এ ফ্রিল্যান্সার বা ওডেস্ক থেকে নিয়মিত কাজ করতে পারে। অল্প বা বেশি যাই হোক বলিনা কেন এই ফেইসবুক ব্যবহারকারীরাই নিজের ক্ষতি না করে অনলাইন ব্যবহার করে বরং পরিবারের কর্তাকে একটু সাহায্য করতে পারে।


০ খালেকুজ্জামান সম্রাট

ডিজিটাল বাংলাদেশ - আমাদের করণীয়

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে গ্রামে গ্রামে ফ্রি ইন্টারনেট চাই


এবারের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১৫০ কোটি টাকাই হোক বা ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হোক, কিছু বরাদ্দ থাকা উচিত আইসিটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামের জন্য। মন্ত্রণালয় যদি মনে করে ১৫০ কোটি টাকা ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট তাহলে তাদের কাছ থেকে আমরা বড় কিছু আশা করতে পারি না। শুধু শহরকেন্দ্রিক উন্নয়ন করলেই চলবে না প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভর্তুকি দিয়ে হলেও ইন্টারনেট ফ্রি করা উচিত।
ঠেকে ঠেকে শেখা, হাতের অন্দাজে পথ খোঁজা কোনো বুদ্ধিমান জাতির কাজ নয়। আমাদের জনগণ যা বোঝেন তা যদি নীতিনির্ধারকদের বুঝতে সাত-আট বছর লেগে যায়, তাহলে এই জাতির কাছে হতাশা ছাড়া আর কিছুই রইবে না। ১৯৯৩ সালে প্রথম যখন ইমেইল সার্ভিস শুরু হয় তখন দেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে বলে এটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঠিক যেমনি ফটোকপিয়ার মেশিন আমদানির বিষয়েও একই অজুহাত দেখিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবেশের পথ দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। ১৯৯৪ সালে ফ্লাগ নামে বিশ্ব সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে প্রবেশ করতে পারতো কিন্তু বাংলাদেশ এতে অংশ না নিলেও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো ঠিকই যুক্ত হয়। সেই বছরই ২৪ হাজার কোটি টাকার ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য বিদেশী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে ফিরে যায়। বাংলাদেশ বঞ্চিত হয় হাজার কোটি টাকার আউটসোর্সিং কাজের সম্ভাবনা থেকে। এরপর অনেক চড়াইউৎরাই পার হয়ে ২০০৬ সালে প্রায় ১২ বছর পর বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত হয়। ৮০’র দশক থেকে বাংলাদেশে কম্পিউটার আমদানি হলেও তার মধ্যে আমদানি শুল্ক ছিল। যার কারণে দেশের কম্পিউটারে ব্যবহার প্রসারিত হয়নি। দেশের প্রিন্ট মিডিয়াগুলো এই বিষয়ে বার বার তাদের লেখনির মাধ্যমে কম্পিউটার শুল্ক মুক্ত করার জন্য দাবী জানায়। ’৯০-এর দশকেও যদি শুল্কমুক্ত কম্পিউটার বাংলাদেশের তরুণ সমাজের কাছে আসতো তাহলে আজ ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্লোবাল ইনফরমেশন টেকনোলজি রিপোর্টের নেটওয়ার্ক রেডিন্যাস ১২৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৩তে নামতো না। স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ২০১১ সালে ৪০ হাজার টেলিসেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এটি আসলে অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে আইসিটি বাজেট দেয়া হয় মাত্র ২২৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়। জুলাই ২০০৫ সালে বাজেটে ১০শতাংশ হারে কর প্রস্তাব করা হয়। যদিও এটি পরে বাতিল হয়।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ২০০৭ সালে আইসিটি উন্নয়ন খাতে ব্যয় হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি ডলার। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো এই খাতে ব্যয় করেছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। নিম্ন আয়ের দেশগুলো যাদের মাথাপিছু আয় ৯৩৫ ডলারের নিচে তাদেরও এই খাতে ব্যয় ৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ আইসিটি খাতে জনপ্রতি ব্যয় ৪৪ ডলার। ইন্দোনেশিয়া এই খাতে ৩৪ কোটি, থাইল্যান্ড ৩০ কোটি এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩ কোটি ডলার ব্যয় করছে। এই অর্থ মোট সরকারি বাজেটের প্রায় দশমিক ৫ শতাংশ এবং জিডিপির দশমিক শূন্য শতাংশেরও কম। ভারত সরকার আইসিটি খাতে ব্যয় বহুগুণ বাড়িয়েছে। তারা এ খাতে ব্যয় করছে বাজেটের ২ থেকে ৩ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। তাই আমাদেরও এই খাতে উন্নয়ন করতে হলে বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আমাদের বাজেট ১৫০ কোটি হোক বা ৬ হাজার কোটি হোক, কিছু বরাদ্দ থাকা উচিত অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামের জন্য। মন্ত্রণালয় যদি মনে করে ১৫০ কোটি টাকা ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট তাহলে তাদের কাছ থেকে আমরা বড় কিছু আশা করতে পারি না। আমাদের সবাইকে মিলে একত্রে কাজ করতে হবে। তাহলে সরকারের ওপর একটা চাপ তৈরি করা যাবে। একসেস নেটওয়ার্ক এবং অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
এতে ইন্ডাস্ট্রি অরিয়েন্টেড মানবসম্পদ তৈরি হবে। বাজেটে এই দিকটায় জোর দিতে হবে। পণ্যের যে আইডিয়া তৈরি হবে তা বাস্তবায়নে ৫০ কোটি টাকা এবং মঞ্জুরি হিসেবে দিতে হবে ৫০ কোটি টাকা। সারা বিশ্বে এখন চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। এই মন্দা মোকাবেলায় সারা বিশ্ব তৎপর। আমাদের মতো দরিদ্র দেশে এই মন্দার প্রভাব এখনো পড়েনি বলে আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কোন কারণ নেই। আমাদের এখন প্রয়োজন শিল্পতে বিনিয়োগ করা। ফিলিপাইন সরকার তাদের বিদেশ থেকে ফেরা শ্রমিকদের জন্য ভাতা প্রদান করছে এবং তাদেরকে আরো কর্মোপযোগী করার জন্য ট্রেনিং দিচ্ছে।
আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ত্রিমুখী উন্নয়ন এর একটি হচ্ছে সামাজিক, রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক দারিদ্রতা। আর এজন্য সরকারের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিন ধাপে কাজ করতে হবে। এর প্রথম ধাপ হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তিতে জনগণকে শিক্ষিত করতে হবে। সবাইকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার প্রয়োজন নাই কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট অবকাঠামো তৈরি করতে হবে এজন্য জেলা লেভেলের পাশাপাশি কিছু কিছু উন্নত উপজেলায় ইন্টারনেট সম্প্রসারণ করতে হবে। সরকারতো কতো কিছুতেই ভর্তুকি দেয় এখন গ্রামে গঞ্জে ফ্রি ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া উচিত। সবশেষে হচ্ছে এই তথ্যপ্রযুক্তিতে সম্পৃক্ত যুবকদের সুদমুক্ত ছোট ছোট ঋণ দিতে হবে। মটরসাইকেল কেনার জন্য ব্যাংক ঋণ দেয়। একটি শিক্ষিত বেকার যুবককে যদি একটি কম্পিউটার, প্রিন্টার, ক্যামেরা কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণ দেয়া হয় তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার শপথে যে সরকার এসেছে তার কিছুটা লক্ষ্য উদ্দেশ্য বা রোডম্যাপ অন্তত প্রথম ১০০ দিনে ফুটে ওঠা উচিত ছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলেও দেশের তথ্যপ্রযুক্তি এগিয়ে যাবে। কিন্তু সরকারের এটি প্রথম এজেন্ডা হওয়ার মানুষের আশাও বেড়ে গিয়েছে অনেকদূর। এ জন্য এরই মধ্যে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের রোডম্যাপ তৈরি করে দু’একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিলেই এর অগ্রযাত্রা মানুষের চোখে পড়তো। শুল্কমুক্ত কম্পিউটার আমরা বললেই কম্পিউটারেরই বিভিন্ন যন্ত্রাংশের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক রাজস্ব থাকে। কম্পিউটার শুধু মাদারবোর্ড, হার্ডডিস্ক আর র‌্যাম দিয়েই হয় না। প্রিন্টারের কালি ডিজিটাল ক্যামেরাসহ বিভিন্ন পণ্যে এখনো শুল্ক অনেক বেশি। আমরা আশা করছি এই বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে সরকার আরো মনোনিবেশ করবে এবং সত্যিকারের শুল্কমুক্ত কম্পিউটার মানুষকে দিবে। ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে আমরা সরকারের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি ২০২১ সালের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার তথ্য প্রযুক্তি পণ্যের উপর শুল্ক শূন্য করবে। তথ্য, যোগাযোগ ও টেলিকম সেক্টরে গত বছর সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫০০ কোটি টাকা আর এর মধ্যে ২২০০ কোটি টাকা সরকার আয় করছে। এর আগের বছর এই খাতে সরকারের আয় ছিল ১৬০০ কোটি টাকা।