বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০১০

ফড়িং এর বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য

ফড়িং এর বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য
মোশারেফ হোসেন পাটওয়ারী

ফড়িং এর রয়েছে নিখুঁতভাবে ওড়ার ক্ষমতা। উড়ার বেগ যাই হোক না কেন, ওরা উড়তে উড়তে যে কোন দিকে ইচ্ছে মতো হঠাৎ থেমে যেতে পারে। শিকার ধরার জন্য বাতাসে সুবিধাজনক স্থানে ভেসেও থাকতে পারে। শিকার যে দিকেই থাকুক ফড়িং সে দিকেই দ্রূত বেগে ঝাঁপিয়ে পড়তে সক্ষম। ফড়িং এর প্যাঁচালো বা কুন্ডালাকার গঠণ, যা ধাতব আবরণ যুক্ত। ফড়িং এর দু'জোড়া পাখা। একজোড়া সামনের দিকে, অন্য জোড়া পিছনের দিকে। দু'জোড়া পাখা পরস্পর চমৎকার সমন্বয়ের সাথে কাজ করে।
পাখাগুলোর নাড়াচাড়া দু'টি পেশীপুঞ্জ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সাধারণ তামাটে লাল, হালকা নীল বা বিভিন্ন রঙের ফড়িং আমরা দেখতে পাই। ফড়িং এর শরীরের ভর অনুযায়ী তৈরী চারটি পাখা তাদের সঠিকভাবে উড়তে সাহায্য করে। ফড়িং এর রয়েছে হঠাৎ ওড়ার ক্ষমতা, গতি বৃদ্ধি বা হ্রাসের ক্ষমতা, বাতাসে স্থির হয়ে ভেসে থাকার ক্ষমতা, ওড়ার সময় প্রতি সেকেন্ডে ১০ মিটার পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।
কীট-পতঙ্গদের মধ্যে ফড়িং এর চোখ সবচেয়ে সৌন্দর্য্যমন্ডিত। প্রতিটি চোখে রয়েছে ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পৃথক পৃথক লেন্স, মাথার অর্ধেকটা জুড়েই হরিণের চোখ। এ জন্যে সামনে পেছনে সহ বিশাল এলাকা দেখতে পায় ফড়িং। ফড়িং এর শরীরের যে কোন অংশের সামান্য সমস্যার কারণে তার পুরো শরীরটাই অচল হয়ে পড়ে। ফড়িং এর এসব বৈশিষ্ট্য আমাদেরকে অবশ্যই হেলিকপ্টারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
আধুনিক প্রযুক্তি হিসাবে হেলিকপ্টার নির্মাণে উড্ডয়নে ও অবতরণের কৌশল নির্ধারণে ফড়িং এর এই বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্যকেই ব্যবহার করা হয়েছে।
সৌজন্যেঃ- দৈনিক ইত্তেফাক