শনিবার, ২৭ জুন, ২০০৯

ছেলেমেয়েদের নেশা ছাড়ানো

ছেলেমেয়েদের নেশা ছাড়ানো


০ অধ্যাপক ডাঃ এ এইচ মোঃ ফিরোজ

যেসব ছেলেমেয়ে নিয়মিত অ্যালকোহলের নেশা করে তাদের মধ্যে আচার-আচরণের অস্বাভিবিকতা বা অসংলগ্নতা দেখা যায়। তারা কিন্তু অ্যালকোহলের জন্য এই আচার ব্যবহারের অস্বাভিবিকতা কে 'অস্বীকার' করে থাকে। অস্বীকার করাটাই একটা বিশেষ মানসিকতা, যা নেশা করার জন্য ধীরে ধীরে গভীরে তৈরি হয়।

রুহিত বন্ধুদের সঙ্গে কলেজ পালিয়ে বারে বসে রোজ আড্ডা দেয় ও মদ খায়। কেন দেরি করে বাড়ি ফেরে এই প্রশ্ন করেছিলেন বলে মাকে যাচ্ছে তাই অপমান করল। কিন্তু পরে যখন তাকে প্রশ্ন করা হলো যে সে এরকম কেন করেছে তার উত্তরে সে প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে মাকে অপমান করার কথা অস্বীকার করল। তার বক্তব্য সে রকম কিছুই হয়নি।

অস্বীকার করা, মিথ্যা বলা বা অজুহাত দেয়া যারা নিয়মিত অ্যালকোহলের নেশা করে, তাদের অনেকের মধ্যে দেখা যায়। দায়িত্ব এড়ানোর জন্য তাদের ওপরে অন্যের ভরসাও চলে যায় এবং অনেকেই এদের এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এই অস্বীকার করার পেছনে যে মানসিকতা কাজ করে তা হলো অ্যালকোহল সম্বন্ধে ভিন্ন চিন্তাধারা।

মদ খেয়ে বা মদের নেশায় অস্বাভিবিক আচার-আচরণ যাকে সোজা কথায় ‘মাতলামি’ বলা হয়, কেউই সহ্য করতে চান না। যারা অ্যালকোহল খায় তাদের প্রায় ২০% এর অপকারিতার শিকার হয়, তারা নিজেদের সংযত করতে পারে না, অ্যালকোহলের পরিমাণ ক্রমশ বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত বিপদ ডেকে আনে। সুতরাং মদ বা অ্যালকোহল যে খায় তাকে ‘দুষ্ট স্বভাবের মানুষ’ না মনে করে ‘অসুস্থ’ ভাবলে সহানুভূতির সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।

‘আমি মদ খাই, মদ আমাকে খায় না’ এই মনোভাবই অ্যালকোহলের নেশাকে বাড়িয়ে দেয়, যে মদ্য পান শুরু করে তার সঙ্গে হাজারো যুক্তিও থাকে। যেমন-

০ আমি দুঃখ-কষ্ট ভুলতেই মদ খাই।

০ নেশা করলে আমার শরীর-মন ভাল থাকে।

০ কাজকর্মে উৎসাহ পাই অথবা

০ আমি জানি কতটুকু অ্যালকোহল খেতে হবে

০ কী পরিমাণে খেতে হবে

০ কী পরিমাণে খেলে ক্ষতি হয়।

০ আমি এত বোকা নই যে নিজের ক্ষতি করব, এই সমস্ত হলো অস্বীকার করার বিভিন্ন অজুহাত।

নেশাগ্রস্ত ছেলেমেয়েদের নেশা ছাড়ানোর মানসিক প্রস্তুতি অনেক সময়েই থাকে না। তাদের মোটিভেট না করেই তাড়াহুড়ো করে চিকিৎসা করালে ফল পাওয়া কঠিন। অনেক ছেলেমেয়েই ‘নেশাবিহীন’ অবস্থায় সাময়িকভাবে নেশা ছাড়ার সদিচ্ছা বা মনোভাব প্রকাশ করে থাকে।

মানসিক অবস্থার বিচার-বিবেচনা, পরিস্থিতি, অভিজ্ঞতা দিয়ে একজন সত্যিই নেশা ছাড়তে ইচ্ছুক কিনা বুঝতে পারা যায়। অবশ্য এ ব্যাপারে কোনো কোনো সময় ভুল হতেই পারে। তবু সম্ভাব্যতার ওপর বিচার-বিবেচনা করেই এগোতে হয়। অনেক সময় একজন নেশাগ্রস্ত ছেলে নেশার কবলে পড়ে নানারকম অজুহাত তৈরি করে। তারা বলে থাকে ‘কী করব নেশা তো ছাড়তেই চাই কিন্তু নেশা করি আর না-ই করি বদনাম দেবেই’ এছাড়া অজুহাত দেখায়। ঝগড়াঝাটি, বিরক্তি, হতাশা প্রভৃতির কারণে অনেক নেশাগ্রস্ত ছেলেমেয়েই মনের উত্তেজনা, নেশা ছাড়ার জন্য সাময়িক কষ্ট, সাময়িক বিভিন্ন উপসর্গ সহজে মেনে নিতে চায় না। ‘অবচেতন’ মনকে ‘চেতন’ মন দিয়ে অনেক সময় অস্বীকার করলেও অবচেতন মন মনের অবদমিত আবেগ, নিগূঢ় ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করবেই। নিজেকে কষ্ট দেয়া, নিজের ক্ষতি করার প্রবণতা, মৃত্যুর আকাঙক্ষা মানুষকে নেশায় আসক্ত হওয়ার পথে ঠেলে দেয়। দুর্ভাগ্যবশত শত যুক্তি-তর্ক বা বিচার-বিবেচনা তখন কোনো রকমে কাজ করে না বা করতে চায় না।

মাদকদ্রব্যের প্রতি আকর্ষণ এবং ব্যবহারের খারাপ ও ভয়াবহ পরিণতি কখনো কখনো নেশাক্রান্ত কিশোর-কিশোরীদের বিচলিত, বিভ্রান্ত, ভীত করে থাকে। নেশা শুরু করার পর ছাড়া যায় না অথবা নেশা বন্ধ করলে এত কষ্ট হয় যে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে প্রভৃতি কথা তাদের মনকে এতটাই বশীভূত করে যে তারা কিছুতেই নেশা ছাড়ার জন্য চিকিৎসা করাতে রাজি হয় না। এছাড়া নেশার চিকিৎসা সম্বন্ধে ভুল ধারণা, অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি, নেশাক্রান্ত ছেলেমেয়ের পরিচয় গোপন না রাখা নেশার চিকিৎসাকে ব্যর্থ করে থাকে। যারা চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত তারা অনেক সময় নিজেদের প্রচার ও বাহবার জন্য সবার সামনে নেশাগ্রস্ত ও নেশা ছেড়েছে- এমন ছেলেমেয়েদের পরিচয় দিয়ে থাকেন। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

নেশায় আক্রান্ত কিশোর-কিশোরীদের অভিভাবক বা মা-বাবা প্রথমে নেশার ব্যাপারটি জানতে বা বুঝতে অনেকটাই সময় নিয়ে নেন। অবশ্য এর জন্য তাদের দোষ দেয়া যাবে না, কারণ অন্যান্য অসুখ-বিসুখের ক্ষেত্রে কতগুলো বাহ্যিক লক্ষণ থাকে, যা দিয়ে রোগীকে সহজেই চিনে নেয়া যায়। কিন্তু নেশার ব্যাপারে প্রথম থেকেই একটা অলিখিত লুকোচুরির খেলা শুরু হয়ে যায়। না জেনে মাদকদ্রব্য অনেক ছেলেমেয়েই প্রথমে ব্যবহার করে ও পরে আসক্ত হয়ে পড়ে। যে নেশা করছে সে যখনই বুঝতে পারে যে তার নেশা করাটা অনেকের চোখেই ভালো নয় তখনই সে লুকাতে চেষ্টা করে। নেশা করা খারাপ- এটা অনেক ছেলেমেয়েই জানে তবুও ‘জেনে শুনে বিষপান’ এর মতো নেশার প্রতি আসক্ত পড়ে। সুতরাং যে কিশোর-কিশোরী জেনেশুনেই নেশা শুরু করেছে সে নেশা ছাড়তেই বা চাইবে কেন? নেশার চিকিৎসার সাফল্য নির্ভর করে-

০ নেশার দ্রব্যের গুণাগণ

০ একজনের নেশা করার ক্ষমতা

০ কতদিন ধরে ব্যক্তিটি আসক্ত হয়েছে

০ তার মানসিক অবস্থা কী পর্যায়ে আছে ইত্যাদির ওপর

পরিবেশ এবং পরিস্থিতির ওপরও মাদকাসক্তির চিকিৎসা অনেকখানি নির্ভর করে থাকে। একটি ছেলে বা মেয়ের বাড়ির পরিবেশ, বন্ধু-বান্ধবের প্রভাব, পাড়া-প্রতিবেশির আচার-ব্যবহার তার নেশা করা বা নেশা ছাড়া দুটিকেই যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অনেক সময় নেশা করতে গিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক দিক দিয়ে অনেক রকমের সমস্যার সৃষ্টি হয়। পাড়াতে, মহল্লায় বা বাড়িতে নেশা করার জন্য মারধর, ভয় দেখানো, ঘরে বন্ধ করে রাখা, পুলিশি হামলা, ঝামেলা অনেক সময় ছেলেমেয়েদের নেশা ছাড়ার থেকে নেশা করে যাওয়ার দিকে নিয়ে যায়।

নেশার চিকিৎসা বিষয়টি যেমন জটিল, কষ্টসাধ্য, তেমনি অনেকটা কুয়াশাচ্ছন্ন। তাই এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ মনোবিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। নেশার জিনিসের প্রতি আসক্তি কিন্তু একটা অসুখ- যা শরীর-মন দুটোকেই অসুস্থ করে তোলে এবং কিশোর বা কিশোরীর সামাজিক জীবনেও বিপর্যয় ডেকে আনে।

দৈনিক ইত্তেফাকের সৌজন্যে

শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০০৯

উদ্ভিদ জগৎ : বিস্ময়কর প্রজাতি

উদ্ভিদ জগৎ : বিস্ময়কর প্রজাতি

পৃথিবীতে প্রায় চার লাখ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এরমধ্যে অনেক বিস্ময়কর প্রজাতি রয়েছে।

কম্পাস গাছঃ এ গাছগুলোর পাতা কম্পাসের মত উত্তর-দক্ষিণ দিকে মুখ করে থাকে। উত্তর আমেরিকায় পাওয়া যায়।

ডিজেল গাছঃ এ গাছের কাণ্ড থেকে তেল বের হয়। এ তেল দিয়ে ডিজেলের কাজ হয়। প্রতি ৬ মাস পর পর একটি গাছ থেকে প্রতি ঘন্টায় ৭-১০ লিটার তেল বের হয়। ব্রাজিলে এ গাছ আছে।

রেইন ট্রিঃ প্রচণ্ড রোদের সময় বাতাস থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প শোষণ করে। পরে গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বৃষ্টির আকারে পড়ে। পেরুতে এ গাছ আছে।
জেনারেল শেরম্যানঃ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ওজনের গাছ। গাছটির ওজন হয় প্রায় দুই হাজার টন। ক্যালিফোর্নিয়াতে এ গাছ পাওয়া যায়।

স্প্রাসঃ গাছটি খুবই ছোট। বরফে আবৃত থাকে। গাছের বীজ দশ হাজার বছরের পুরনো হলেও গাছ জন্মে। লুপিন গাছের বীজও দশ হাজার বছর পর্যন্ত জীবন্ত থাকে। কানাডায় এ গাছ পাওয়া যায়।

মানুষ খেকো গাছঃ এই গাছের কাছে মানুষ গেলে ডালপালা দ্বারা আঁকড়ে ধরে গাছের গহ্বরে মানুষের দেহ ঢুকিয়ে নেয়। এদের ডালপালা কেটে শক্তিহীন করে রাখা হয়। ফলে খাদ্য না পেয়ে অনেক গাছ মারা যাচ্ছে। পৃথিবীতে প্রায় ৫০০ প্রকারের মাংসাসী গাছ আছে। কঙ্গোর গহীন জঙ্গলে এ গাছ আছে।

পতঙ্গভূক গাছঃ ড্রাসিরা ও ঝাঝিয়ো গাছে পোকা বসলে গাছের ভেতর টেনে নেয়। পাতা ও ফুল দেখে পোকা আকৃষ্ট হয়। বাংলাদেশের খাসিয়া ও জয়ন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশের কলসীগাছও পোকা খায়। আমেরিকার ‘ডায়োনিয়া’ নামের উদ্ভিদ পোকা-মাকড় খায়।

সর্ববৃহৎ ফুল গাছঃ সুমাত্রা জঙ্গলের র‌্যাফ্রেসিয়া আরনও গাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুল ধরে। উষ্ণ রক্তবর্ণ এই ফুল পীড়াদায়ক দুর্গন্ধযুক্ত।

পুরু রাইমন্তিঃ বলিভিয়ার এই ফুল পৃথিবীর সবচেয়ে ধীরগতিতে ফোটে। ফুলটি ফুটতে ১৫০ বছর সময় লাগে।

লজ্জাবতীঃ গাছের পাতার কাছে কেউ গেলে বা কিছু স্পর্শ লাগলে লজ্জায় পাতা চাপিয়ে ফেলে। বাংলাদেশে এ গাছ প্রচুর পাওয়া যায়।

চিনি গাছঃ ডগলাস ফার নামের গাছ থেকে চিনি পাওয়া যায়। এই গাছে প্রচুর কাটা থাকে। কাঁটায় সরু ছিদ্র দিয়ে মিষ্টি রস বের হয়ে পাতায় জমা হয়। রস শুকিয়ে চিনি তৈরি হয়। গাছটি উত্তর আমেরিকায় পাওয়া যায়।
চুল গাছঃ এই গাছের পাতা অবিকল চুলের মত। অস্ট্রেলিয়ায় এ গাছ পাওয়া যায়।

ক্যাকটাসঃ পৃথিবীতে ১৭০০ প্রজাতির ক্যাকটাস আছে। পেয়োটল নামক ক্যাকটাস গাছের রস পান করলে চোখে সামনে উজ্জ্বল রঙ্গিন অদ্ভূত অস্বাভাবিক সব দৃশ্য ভেসে ওঠে এবং বিচিত্র সব শব্দ শোনা যায়। আমেরিকার আজটেক ও টোলটেক আদিবাসীরা এই রস পান করে।

প্রাচীন বৃক্ষঃ ব্রিসলকোন পাইন নামের গাছের বয়স প্রায় ৫ হাজার বছর। সানফ্রান্সিসকো শহরে এ গাছ পাওয়া যায়।

পাউরুটি গাছঃ এই ফলের গাছটি দেখতে খুব সুন্দর। উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট হয়। এই গাছে বীজহীন ও বীজপূর্ণ দুই রকমের পাউরুটি ফল ধরে। বীজপূর্ণ ফলটি সিদ্ধ করলে বা ভাজলে বাদামের মত স্বাদ হয়। এটি পাওয়া যায় দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চলে।

লাইকেনঃ গাছটি সবচেয়ে কম বৃদ্ধি পায়। ৫০ বছরে মাত্র এক হাত বাড়ে। এসব গাছের বয়স ২০০ বছর।

মোকাইয়াঃ গাছের ওজন ২ হাজার টন হয়। গাছটি ৪ হাজার বছর পর্যন্ত বাঁচে।

রেড উডঃ লম্বা হয় ৩৭০ থেকে ৩৯০ ফুট পর্যন্ত। ৭ হাজার বছর বাঁচে। বেড় হয় ১০০ থেকে ১২০ ফুট। উত্তর আমেরিকায় পাওয়া যায়।


কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ

তেঁতুল : হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী

তেঁতুল : হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী




তেঁতুল বসন্তকালের ফল হলেও সারা বছর পাওয়া যায়। অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং রক্ত পানি হয়। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুণ। তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। তেঁতুল দিয়ে কবিরাজি, আয়ুর্বেদীয়, হোমিও, এলোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করা হয়। স্কার্ভি রোগ, কোষ্ঠবদ্ধতা, শরীর জ্বালা করাসহ প্রভৃতি রোগে তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। তেঁতুল রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। মেদ-ভুঁড়ি কমায়। পেটে গ্যাস হলে তেঁতুলের শরবত খেলে ভালো হয়। পাকা তেঁতুল কফ ও বায়ুনাশক, খিদে বাড়ায় ও উষ্ণবীর্য হয়। তেঁতুল গাছের বাকল, ফুল, পাতা, বীজ ও ফল সবই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তেঁতুল বীজের শাঁস পুরনো পেটের অসুখে উপকারী। তেঁতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ ওঠা সারায়। মুখে ঘা বা ক্ষত হলে পাকা তেঁতুল জলে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।



বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরানো ও রক্তের প্রকোপে তেঁতুল উপকারী। কাঁচা তেঁতুল বায়ুনাশক। কাঁচা তেঁতুল গরম করে আঘাত পাওয়া স্থানে প্রলেপ দিলে ব্যথা সারে। তেঁতুল গাছের শুকনো বাকলের প্রলেপ ক্ষতস্থানে লাগালে ক্ষত সারে। পুরনো তেঁতুল খেলে আমাশয়, কোষ্ঠবদ্ধতা ও পেট গরমে উপকার পাওয়া যায়। পুরনো তেঁতুল খেলে কাশি সারে।



পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি। খাদ্যশক্তির পরিমাণ নারিকেল ও খেজুর ছাড়া সব ফলের চেয়ে বেশি। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ১৭ গুণ বেশি। আয়রণের পরিমাণ নারিকেল ছাড়া সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ২০ গুণ বেশি। অন্যান্য পুষ্টি উপাদান স্বাভাবিক পরিমাণে আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ ২.৯ গ্রাম, খাদ্য-শক্তি ২৮৩ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩.১ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৬৬.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৭০ মিলিগ্রাম, আয়রণ ১০.৯ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগ্রাম ও ভিটামিন সি ৩ মিলিগ্রাম।

ইত্তেফাক থেকে

রসুন : রসুনের ভেষজ গুণাবলী

রসুন : রসুনের ভেষজ গুণাবলী


আধুনিক সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারে পরিচালিত অসংখ্য গবেষণা হতে রসুনের বিবিধ ঔষধি গুণাবলী সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া গেছে। নিম্নে রসুনের কতিপয় ঔষধি গুণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করা হলো:


রক্তের কোলেস্টেরেল নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন লাইপোপ্রোটিন-এর অক্সিডেশান কমায় এবং এলডিএল (LDL)-†K অক্সিডেশান প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন করার মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। রসুন কোষকলাও রক্তরসের মধ্যে লিপিড (চর্বি)-এর ভারসাম্যতা রক্ষা করে এবং যকৃত (লিভার) এর ইপোক্সিডেজ এনজাইমের কার্যকারিতা বন্ধ করার মাধ্যমে রক্তরসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।


এথেরোস্ক্লেরোসিস নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন এলডিএল (LDL)-Gi অক্সিডেশান কমায় ফলে ধমনীতে এথেরোস্ক্লেরোসিস সৃষ্টি হয় না এবং এথেরোস্ক্লেরোসিসের ফলে সৃষ্ট প্লাক (আস্তরণ) এর পরিমাণ হ্রাস পায়। গবেষণা হতে জানা যায় যে, এথেরোস্ক্লেরোসিস নিয়ন্ত্রণে রসুন পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকর।


রক্তণালীতে অণুচক্রিকার জমাটবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন রক্তনালীর অভ্যন্তরে অণুচক্রিকা কোসেল জমাটবদ্ধতা (থ্রম্বাস) প্রতিহত করে। ফলে রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকে। আর এক্ষেত্রে রসুনের এলিসিন নামক উপাদানটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন রক্তনালীতে জমে থাকা কোলেস্টেরল কমায় এবং নতুন করে জমতে বাধা দেয়। ফলে রক্তনালী প্রশস্ত হয় এবং রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ হয়। এভাবে রসুন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।


হৃদরোগ প্রতিরোধে : রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, এথেরোস্ক্লেরোসিস ও রক্তনালীতে অণুচক্রিকার জমাটবদ্ধতা (থ্রম্বোসিস) হৃদরোগ ও হার্ট এ্যাটাকের মূল কারণ। গবেষণা হতে জানা যায় যে, রসুন রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, এথেরোস্ক্লেরোসিস ও (থ্রম্বোসিস) প্রতিহত করে। তাই হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ ও হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধে রসুন এক অসাধারণ ভেষজ।


পাকস্থলী ও মলাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে : পাকস্থলী ও মলাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুন খুবই কার্যকর। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণা হতে জানা যায় যে, যারা প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোয়া করে রসুন খায় তাদের পাকস্থলীর ক্যান্সার ও মলাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি যথাক্রমে ৪৭% ও ৪০% কমে যায়। গবেষণা হতে আরও জানা যায় যে, রসুন ক্যান্সার কোষসমূহের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি রোধ করার মাধ্যমে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।


আলসার প্রতিরোধ : Helicobacter pylori নামক এক প্রকার গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে আমাদের অন্ত্রে গ্যাস্ট্রাইটিস ও পেপটিক আলসারের সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণা হতে জানা যায় যে, রসুনে বিদ্যমান ডাই এলাইল সালফাইড ও ডাই এলাইল ডাই সালফাইড-এর রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী ক্ষমতা। তাই এই ব্যাকটেরিয়াজনিত গ্যাস্ট্রাইটিস ও আলসার নিরাময়ে রসুন খুবই কার্যকর।


জীবাণু প্রতিরোধে : রসুনের রয়েছে জীবাণু (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি) প্রতিরোধী ক্ষমতা। শুধু তাই নয়, যেসব জীবাণু এন্টিবায়োটিক র‌্যাজিস্ট্যান্ট (প্রতিরোধক্ষম) হয়ে গেছে সেসব জীবাণু ধ্বংসে রসুন খুবই কার্যকর।


পুরনো জ্বরে : যখন পুরানো জ্বর ছাড়ে না, বাড়ে-কমে কিন্তু একটু থেকেই যায়, তখন ৫/৭ ফোঁটা রসুনের রসের সাথে আধা কাপ গাওয়া ঘি মিশিয়ে খেলে ২/৪ দিনের মধ্যেই জ্বর কমে যাবে।


শরীর ক্ষয়ে : খায় দায় শুকিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ১/২ কোয়া রসুন বেটে এক বা আধা পোয়া দুধে পাক করে সেটা খেতে হয়। এটাতে ক্ষয় বন্ধ হবে; অধিকন্তু আস্তে আস্তে ওজন বেড়ে যাবে।


শুক্র তারল্যে : অল্প গরম দুধের সাথে ২/১ কোয়া রসুন বাটা খেলে শুক্রতারল্য হয় না; অস্থির বল বাড়ে; অস্থির ক্ষয় হ্রাস পায় : শরীরের নিত্যক্ষয় রুদ্ধ হয়।


পেটের বায়ুতে : এক্ষেত্রে ঠাণ্ডা পানিতে ২/৪ ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।


বাতের যন্ত্রণায় : গাওয়া ঘিয়ের সঙ্গে ২/৩ কোয়া রসুন বাটা অথবা ৫/৭ ফোঁটা রস মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।


মাথা ধরায় : সর্দি হয় না অথচ মাথা ধরে (বায়ুর জন্য), এরকম হলে ২/১ ফোঁটা রসুনের রসের নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।


ক্ষত নিরাময়ে : ক্ষতের পঁচা অংশ কিছুতেই যেতে চায় না, এরূপ হলে রসুন বাটা ক্ষতে লাগালে ক্ষত নিরাময় হয়ে যাবে।


ডাঃ আলমগীর মতি, চেয়ারম্যান,

মডার্ণ হারবাল গ্রুপ।

মাশরুম চাষ

মাশরুম চাষ


মাশরুম


মাশরুম পুষ্টিকর এবং ওষুধিগুণসম্পন্ন একটি উৎকৃষ্ট সবজি। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মাশরুম চাষের জন্য উপযোগী। মাশরুম চাষের উপকরণ খড়, কাঠের গুঁড়া, আখের ছোবড়া অত্যন্ত সস্তা ও সহজে পাওয়া যায়। এ সবজিটি ঘরের মধ্যে চাষ করা যায় এবং মাত্র ৭-১০ দিনের মধ্যেই মাশরুম পাওয়া যায় যা অন্য ফসলে পাওয়া যায় না। চাষাবাদে কোন খরচ নেই বললেই হয়। জমির প্রয়োজন হয় না।

বর্তমানে বাংলাদেশে চাষকৃত মাশরুম হচ্ছে কিং ওয়েস্টার, বাটন, শিতাকে, ইনোকি, মিল্কী হোয়াইট, বীচ, স্যাগী, নামেকো, পপলার ও স্ট্র ।

খড়ের বেডে মাশরুম চাষ সাধারণত দুধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রথম ১৭ থেকে ২০ দিন ওম ঘরে তারপর ফসল উৎপাদনের জন্য চাষঘরে ২১ দিন থেকে ৪৫ দিন। ওমঘর ব্যবস্থাপনা এবং চাষঘর ব্যবস্থাপনা তথা স্ব স্ব ক্ষেত্রে যথাযথভাবে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণই হল এ চাষের মূল কৌশল।

মাশরুম চাষ করতে বীজ, ধানের খড়, পাতলা পলিথিন ব্যাগ, ঝুলন- শিকা বা বাঁশ, ছিদ্রযুক্ত কালো পলিথিন সিট, ঘরের উষ্ণতা ও আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য হাইগ্রোমিটার, ঘরের উষ্ণতা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য হ্যান্ড সেপ্রয়ার, জীবাণুনাশক, বে­ড বা ছোট ছুরি, বালতি, আনুসাঙ্গিক অন্যান্য উপকরণ।

মাশরুম উৎপাদন পদ্ধতি : বীজ প্যাকেট প্রস্ততকরণ; সাদা মাইসেলিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুমের বীজ প্যাকেটের মুখ বন্ধ থাকলে রাবার ব্যান্ড, কাগজ, তুলা ও প্লাস্টিক নেক খুলে আলাদা করে আবার প্যাকেটের মুখটি শুধু রাবার ব্যান্ড দিয়ে পেচিয়ে ভালভাবে আটকাতে হবে; তারপর কম্পোস্ট প্যাকেটের উপরের দুপাশে (বিপরীত দিকে) ব্লেড দিয়ে গোলাকার বা চোখের আকৃতি করে ৩-৪ সে।মি. পলিথিন ব্যাগ কেটে ফেলতে হবে; কাটা অংশে চা চামচ দিয়ে ১ সে.মি. গভীর করে কম্পোস্ট চেঁছে ফেলতে হবে। এ ব্যবস্থাকে মাশরুম উৎপাদনের জন্য উদ্দিপ্তকরণ বলে; কম্পোস্ট প্যাকেট গুলো এবার একটি সুবিধামত পাত্রে পরিষ্কার পানিতে ৩০ মিনিট পর্যন- ডুবিয়ে রাখতে হবে; পানির পাত্র থেকে প্যাকেটগুলো উঠিয়ে পরিষ্কার স্থানে ৩০ মিনিট পর্যন- উল্টো করে রাখতে হবে যাতে প্যাকেটের বাড়তি পানি ঝরে পড়ে; এখন কম্পোস্ট প্যাকেটগুলো মাশরুম চাষের জন্য প্রস্তুত হল। মাশরুম উৎপাদনের ঘরে মাচার উপর প্রয়োজন অনুযায়ী একটি ভেজা পলিথিন পেতে উক্ত কম্পোস্ট প্যাকেটগুলো মাচার উপর রাখতে হবে এবং আর একটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

পলিথিন দিয়ে প্যাকেটগুলোকে ২-৩ দিন ঢেকে রাখতে হবে। তবে প্রতিদিন সকাল-দুপুর-বিকেল মোট ৩ বার প্যাকেটের উপরের ঢাকনা ১০ মিনিট পর্যন্ত- সরিয়ে রাখতে হবে যেন এ সময় বাতাস চলাচল করতে পারে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে পলিথিনের উপরে হালকাভাবে পানি স্প্রে করতে হবে, অথবা ঘরের ভেতরের চারপাশে চট ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে।

মাশরুম উঠানোর পর গোড়া থেকে ১-২ সে।মি. মত কেটে বোঁটাসহ ছিদ্রযুক্ত পলিথিন ব্যাগে বাজারজাত করা ভাল। তবে বিশ্বাসযোগ্যতা ও দূষণমুক্ত রাখার জন্য পলিথিন প্যাকেটের মুখ বন্ধ করে বাজারজাত করা দরকার। সাধারণ তাপমাত্রায় মাশরুম ১২-১৫ ঘন্টা ভাল থাকে। ফ্রিজের সবজি রাখার স্থানে রাখলে ৩-৪ দিন পর্যন- ভাল থাকে। তবে এ মাশরুম রোদে শুকিয়ে অনেকদিন রাখা যায়। মাশরুম উঠানোর পর সুন্দর করে বোঁটা কেটে রোদে প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা করে ৩-৪ দিন শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে ১ বছর পর্যন্ত শুকনো মাশরুম ভাল থাকে।

মাশরুমে রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেক কম। শুধু খড়ের বেড তৈরির সময় আগাছা বাছাই করে ফেললে আগাছার প্রকোপ থাকবে না। আর মাছিপোকা ও তেলাপোকা দমনের জন্য আঠার ফাঁদ, নকরোচ ব্যবহার করলেই চলে।

মাশরুম দিয়ে মাশরুম ফ্রাই, আমিষ সমৃদ্ধ স্যুপ, মাশরুম চিকেন স্যুপ, মাশরুম চিংড়ি, মাশরুম স্যান্ডউইচ, মাশরুম সস, মাশরুম পোলাও ও মাশরুম ওমলেট তৈরি করা যায়।


মাশরুম

বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মাশরুম খাদ্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে। কারণ, মাশরুমে অনন্য শাকসবজি ও ফলের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি আমিষ থাকায় উন্নত বিশ্বের লোকেরা একে সবজি মাংস হিসেবে অভিহিত করে। তাছাড়া রোগমুক্ত স্বাস্হ্যের জন্য নিয়মিত মাশরুম রাখতে হবে আমাদের খাবার তালিকায়।

জলজ প্রাণী: মাছ

ছোট মাছের বড় ক্ষমতা



।। লন্ডন থেকে রয়টার্স ।।
ইউরোপে ঝরনার জলে বিচরণ করা স্টিকলব্যাক নামের ছোট একটি মাছের মানুষের মতো শেখার ক্ষমতা আছে। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা বুধবার একথা জানিয়েছেন। স্টিকলব্যাক মাছ অন্য মাছের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারে কোন খাবারের মান ভাল। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, স্টিকলব্যাকই প্রাণীকুলের মধ্যে প্রথম মানুষের মতো সামাজিক-শিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল রপ্ত করার মতো ক্ষমতা দেখাল। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেরেমি কেনডাল বলেছেন, ছোট মাছের মস্তিষ্ক হয়তো ছোট, কিন্তু তাদের শেখা-বোঝার বিস্ময়কর ক্ষমতা আছে।

সেন্ট এন্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষকের সঙ্গে মিলে কেনডাল পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, ৭৫ শতাংশ স্টিকলব্যাক মাছই অন্য মাছকে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারে জলাধারে সেরা খাবারের পাত্রটি কোনটি। যদিও ঐ পাত্রের খাবারের স্বাদ আগে পায়নি স্টিকলব্যাক। বিহ্যাভিয়ার‌্যাল ইকোলোজি নামের সাময়িকীকে বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, স্টিকলব্যাক সামাজিকভাবে শেখার দক্ষতা প্রদর্শন করেছে যা এখন পর্যন্ত অন্যপ্রাণীদের মধ্যে দেখা যায়নি।